অনলাইন ডেস্ক :: আজ বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র শবে মিরাজ পালিত হবে। শবে মিরাজের রাতে মুসলমানরা ইবাদত করেন। মসজিদে মিলাদ, নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত করেন।
লাইলাতুল মিরাজ উপলক্ষে সারাদেশের মসজিদগুলোতে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এদিনে মুসলমানরা ইবাদত করেন। এদিনে মহানবী (স.) আল্লাহর নৈকট্য লাভ করেছিলেন।
হাদিস ও সাহাবিদের বর্ণনানুযায়ী, মেরাজের রাতে ফেরশতা জিব্রাইল (আ.) রাসুলকে (সা.) নিয়ে কাবা শরিফের হাতিমে যান। জমজমের পানিতে অজুর পর বোরাক নামক বাহনে জেরুজালেমের বাইতুল মুকাদ্দাসে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। এরপর প্রথম আকাশে পৌঁছে হজরত আদম (আ.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এভাবে সাত আকাশ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে সাক্ষাৎ করেন হজরত ইসা (আ.), হজরত ইয়াহইয়া (আ.), হজরত ইদ্রিস (আ.) হজরত হারুন (আ.) হজরত মুসা (আ.) ও হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর সঙ্গে।
সপ্তম আকাশ থেকে সিদরাতুল মুনতাহায় গমন করেন মহানবী (সা.)। সেখান থেকে আরশে আজিম যান। এক ধনুক দূরত্ব থেকে আল্লাহর সঙ্গে তার কথোপকথন হয়। মেরাজ শেষে পৃথিবীতে ফিরে রাসুল (সা.) পুরো ঘটনা হজরত আবু বকর (রা.) এর কাছে বর্ণনা করেন। তিনি নিঃসংশয়ে তা বিশ্বাস করেন। রাসুল (সা.) তাকে সিদ্দিক বা বিশ্বাসী খেতাব দেন।
শবে মেরাজ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনাসভা ও দোয়ার আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। দেশের প্রতিটি মসজিদে বাদ মাগরিব দোয়া ও বিশেষ বয়ান করা হবে। শবেমেরাজের রাতে অনেকেই নফল ইবাদত-বন্দেগি করেন। অনেকে নফল রোজাও রাখেন।
করোনা মহামারির কারণে গত বছর শবে মেরাজের কোনও আয়োজন করেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ১৩ ফেব্রুয়ারি পবিত্র জমাদিউস সানি মাস ৩০ দিন পূর্ণ হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হয়। ফলে ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে পবিত্র শবে মিরাজ পালিত হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন