নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ ১০ মাস ধরে লড়াই করে মারা গেলেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। তিনি আটবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ ১০ মাস ধরে লড়াই করে মারা গেলেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। তিনি আটবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সেই জন্মভূমির মাটিতেই। মৃত্যুর আগে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি হন এ গায়ক। সেখানে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এর আগে শরীরে নানা ধরনের জটিলতা নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান এই সংগীতশিল্পী।
বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে নন-হজকিন লিম্ফোমা নামক ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে তার চিকিৎসা শুরু হয়। সেখানে দীর্ঘ নয় মাস চিকিৎসা শেষে গত ১১ জুন দেশে ফেরেন তিনি। এরপর রাজধানীর মিরপুরের বাসায় কয়েকদিন থাকার পর নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে যান।
রাজশাহীতেই কেটেছে এন্ড্রু কিশোরের শৈশব ও কৈশোর। এন্ড্রু কিশোর প্রাথমিকভাবে সংগীতের পাঠ শুরু করেন রাজশাহীর আবদুল আজিজ বাচ্চুর কাছে। একসময় গানের নেশায় রাজধানীতে ছুটে আসেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, আধুনিক গান, লোকগান ও দেশাত্মবোধক গানে রেডিওর তালিকাভুক্ত শিল্পী হন।
এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে। তার রেকর্ডকৃত দ্বিতীয় গান বাদল রহমান পরিচালিত এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী চলচ্চিত্রের ‘ধুম ধাড়াক্কা’। তবে এ জে মিন্টু পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতীজ্ঞা চলচ্চিত্রের ‘এক চোর যায় চলে’ গানে প্রথম দর্শক তার গান শুনে এবং গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে।
এরপর আর চলচ্চিত্রের গানের জন্য পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এন্ড্রু কিশোরের বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এএইচএম নিউজ/এএইচ মির্জা/শেয়ার করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন