AHMnewsTeam ::: হরিজন সম্প্রদায়ের সাথে বর্ণবাদী আচরনের প্রতিবাদে বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে তাদের সাথে একবেলা আহারের আয়োজন করেছে ঢাকা থেকে আগত শিক্ষার্থীরা। এই আয়োজনে যোগদেন ঢাকাসহ বগুড়া ও নওগাঁর সাধারন মানুষরাও। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের রেলওয়ে স্বাধীনতা ম চত্বরে আয়োজনটি করা হয়। দুপুরের খাবারের আগে আয়োজকরা তাদের সুখ-দু:খের গল্প শুনেন এবং তারাও শোনান সাম্য ও শন্তির বাণী। সেখানে আয়োজকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকার শিক্ষার্থী মওলবি আশরাফ, খালিদ মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ, পারভেজ হাসান সুমন ও বগুড়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী জুম্মা খান। এছাড়াও সেখানে বক্তব্য রাখেন সান্তাহার হরিজন সম্প্রদায়ের সভাপতি বৈরাগী লাল বাঁশফোর, সাধারন সম্পাদক শান্ত বাঁশফোর, গঙ্গা বাঁশফোর ও কৃষ্না হারী বাঁশফোর প্রমূখ। আলোচনা শেষে স্বাধীনতা ম চত্বরে শতাধীক হরিজনদের সাথে দুপুরের খাবার খান আয়োজকরা।
বৈরাগী লাল বাঁশফোর বলেন, হরিজন কলোনিতে বসবাস করা হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনরা হোটেলে বসে খেতে পারে না। তাদের অন্য সম্প্রদায়ের বন্ধুরা একই সঙ্গে এসে হোটেলে প্রবেশ করলেও তাদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। তাদের কাগজে বা আলাদা নিজস্ব পাত্রে খাবার নিয়ে হোটেলের বাইরে বসে খেতে হয়। ১১ ডিসেম্বর বিকেলে সান্তাহারে এশিয়া হোটেলে বিরিয়ানির সাথে ঝোল চাওয়ায় হরিজন সম্প্রদায়ের এক তরুণকে ধাক্কা দিয়ে গরম তেলের কড়াইয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর ডান হাত ঝলসে যায়। তাদের সাথে সবসময় বর্ণবাদী আচরন করা হয়। তাদের দাবী, অন্য দশজনের মতো তারাও হোটেলে বসে খেতে চান, স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করতে চান।
আয়োজক শিক্ষার্থী মওলবি আশরাফ জানান, সান্তাহার শহরে হরিজন সম্প্রদায়ের এক তরুণকে মারধরের পর গরম তেলে ঝলসে দেওয়া এবং একই সঙ্গে স্থানীয় খাবারের হোটেলগুলোতে হরিজনসহ দলিত সম্প্রদায়ের লোকজনের খাওয়ার ক্ষেত্রে অলিখিত নিষেধাজ্ঞার খবর শোনার পর আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থীরা এই সীদ্ধান্ত নিই। হরিজন সম্প্রদায়ের সাথে বর্ণবাদী আচরনের প্রতিবাদে আমরা জুমার নামাজের পর একবেলা আহারের এই ব্যবস্থা করি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন