<তরিকুল ইসলাম > বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌর শহরের হেমুতখালী নামক জায়গায় সড়কের পাশে রাখা এসব আবর্জনায় পরিবেশদূষণের পাশাপাশি দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী ও স্থানীয়রা। মাছ, মুরগির নাড়িভুঁড়ি, নষ্ট সবজি, বিভিন্ন ধরনের পচা ফল, হোটেলের যাবতীয় বর্জ্যসহ সব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সড়ক ঘেঁষে। এ থেকে উৎকট গন্ধ ছড়াচ্ছে চারদিকে। ফলে সড়কের পাশ দিয়ে পথচারী ও স্থানীয়রা হাঁটার সময় প্রায় ১ মিনিট নাক চেপে ধরে নিঃশ্বাস বন্ধ করে তড়িঘড়ি করে চলাচল করছে।
সোমবার (১০ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, আক্কেলপুরের জাফরপুর, তিলকপুর, ছাতিয়ান গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য যানবাহন চলাচল ও পথচারী এ সড়ক দিয়ে সান্তাহার পৌর শহরে চলাচল করছে। পৌর শহরে প্রবেশপথে এ রকম চিত্র দেখে বিরক্ত সবাই। মাস্ক পরা পথচারীরাও ময়লা-আবর্জনার গন্ধে নাক চেপে ওই স্থান অতিক্রম করছেন। কেউ কেউ আবার নিজের পরনের কাপড়ের একাংশ নাকে চেপে ধরছেন। তবে আবর্জনা অন্য স্থানে সরিয়ে নিতে স্থানীয়রা দাবি জানালেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ।
পথচারী আমিনুল ইসলাম সুমন হোসেন বলেন, এসব ময়লা-আবর্জনার গন্ধ বাতাসে ভেসে আসে প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত। যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলার কারণে কুকুর ও শিয়াল এসব আবর্জনা টেনে আনছে সড়কের ওপর। ফলে চলাচল অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। শুধু সুমনই নয়, এমন অভিযোগ ছাতিয়ান গ্রামের আলাউদ্দীন সরকার, সান্তাহারের জনি, শ্যামপুরের কাপড় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন ও রজিবেরও।
সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন, গন্ধ যেন না ছড়ায় সে জন্য আপতত ওই স্থানে এসকাভেটর দিয়ে গর্ত করে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অল্পদিনের মধ্যেই জায়গা নির্ধারণ করে ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন