AHMnewsTeam24 ::: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার গ্রামগুলোতে কৃষকের ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব পালিত হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনার পরও যুগ যুগ ধরে চলে আসা বাঙালির আনন্দের এ দিনটি পালনে এবারও তেমন কোন ব্যতিক্রম ছিল না। সীমিত আকারে গ্রামীন মেলা ছাড়াও পাড়া মহল্লায় পশু জবাই করে ভাগাভাগি করে নিয়ে নতুন ধানের চালে রান্না করা পোলাও এবং সাদা ভাত খেয়েছে দুপুরে। রাতে হবে পিঠাপুলি এবং নতুন চালের আটা, গুড় ও ছাঁচি কলা দিয়ে সির্নী তৈরী করে আত্বীয়-স্বজন আর পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে খাবার ধুম।
নতুন ধান আগে কাটা-মাড়াই হলেও নবান্নের দিন ছাড়া গ্রামের অনেক কৃষক নতুন চালের ভাত খায় না। আবার আত্মীয় স্বজনকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় মসজিদে পোলাও পায়েশ দেওয়ার রীতিও চালু রয়েছে। উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ধুমধাম করে নবান্ন উৎসব পালন করা হয় শালগ্রাম গ্রামে। এই গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তি মিজানুর রহমান বাবু জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি বিধি নিষেধকে মান্য করেই আমরা সীমিত পরিসরে এবার নবান্ন উৎসব পালন করেছি। শালগ্রাম ছাড়াও কোমারপুর, কালাইকুড়ি, মুরইল, কাল্লাগাড়ী, সাগরপুর, নিমাইদীঘি, বাগবাড়ি, অন্তাহার, দুর্গাপুরসহ ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের সব গ্রামের কৃষকদের ঘরে ঘরে এই নবান্ন উৎসব পালন করা হয়।
নবান্ন উপলক্ষে উপজেলার শুধু শালগ্রামে ৮টি মহিষ, ১০টি গরু ও ৭টি খাসি জবাই করা হয়। কিন্তু এতেও সংকট দেখা দেওয়ায় শহর থেকে কিনতে বাধ্য হয়েছে বহু মানুষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন