অনলাইন ডেস্ক ::: আজকাল ছোট-বড় সকলের ক্ষেত্রেই হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা বা বাত রোগের হার নানা কারণে বেড়েই চলেছে। ব্যথাকে তেমন গুরুত্ব না দেয়ায় পরবর্তীতে জটিল আকার নিতে পারে শিশু বা তরুণদের বাত রোগ। ফলে সময় থাকতে সচেতন হওয়া সকলের জন্যই অতি জরুরি।
যে কোনো অসুখের ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ওজনের একটি নেতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। তাই খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সবসময়ই সতর্ক হতে হবে। পাশাপাশি মনে রাখতে হবে, শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিনযুক্ত খাবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব যেন না হয়।
সপ্তাহে দু’দিন টুনা, স্যামন বা সার্ডিন মাছ খেলে বাতকে দূরে রাখা সম্ভব হয়। ‘আর্থাইটিস কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ’-এ তথ্যটি প্রকাশ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন – এর বিশেষজ্ঞদের করা এক সমীক্ষার ফলাফলেও এর প্রমাণ মিলেছে।
নিয়মিত ব্যায়াম যেমন শরীর সুস্থ রাখে, তেমনি অসুখ-বিসুখকেও দূরে রাখে। তবে বাতের ব্যথা এড়াতে বিশেষ কিছু ব্যায়ামের বিকল্প নেই বলে জানান, জার্মানির গোয়েটিংগেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের অর্থপেডিক্স ক্রিস্টোফার স্প্যারিং।
কিছু পেশায় যেমন অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, অন্য কিছু পেশায় আবার সারাদিন বসেই থাকা হয়। এর পাশাপাশি ভারি কাজ করতে গেলেও হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে প্রচুর চাপ পরে৷ তাই পেশাগত কারণে সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ছোটবেলার কোনো ক্ষত বা হাত পা ভেঙে যাওয়া থেকে পরবর্তীতে হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা দেখা যায়। বয়স বাড়ার সথে এ ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। তাই বড় ধরনের ক্ষত পুরনো হওয়ার আগেই সতর্ক হতে হবে। নিয়মিত পরামর্শ নিতে হবে অর্থপেডিক ডাক্তারের।
জুতো বদল পায়ের পেশী ঠিক রাখতে প্রতিদিন তিন রকমের জুতো পরা উচিত বলে জানা গেছে গবেষণায়। এর ফলে পায়ের আঙুলের জয়েন্টে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং পুরো পায়ের পাতায় চাপ কম পরে বলেও মনে করছেন গবেষকরা। প্রয়োজনে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। সচেতন হোন নিরাপদ ও সুস্থ জীবন যাপন নিরাপদ ও সুস্থ জীবন যাপন যাপন করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন