'بسم الله الرحمن الرحيم'
মহান আল্লাহ পাক মানুষকে তার এবাদতের জন্যেই সৃষ্টি করেছেন। শুধু মানুষ নয়, বরং মানুষ ও জ্বীন-উভয় জাতিকে আল্লাহ তার এবাদত তথা তার দাসত্বের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ বলেন- অর্থাৎ আমি মানব ও জ্বীন জাতিকে একমাত্র আমার এবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। ফলে তিনি মানুষের জন্য কিছু দৈহিক, আত্মিক ও আর্থিক এবাদতের বিধান করেছেন। দৈহিক এবাদতের মাঝে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও মহান এবাদত হলো সালাত। আর সালাত এমন একটি এবাদত যাকে আল্লাহ তার মাঝে এবং তার বান্দার মাঝে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যম সাব্যস্ত করেছেন।
সালাতের মাধ্যমে একজন মানুষ আল্লাহর সাথে দেয়া প্রতিশ্রুতির বার বার প্রতিফলন ঘটায়। সে তার প্রভু বা স্রষ্টাকে বুঝাতে সক্ষম হয় যে, সে তার প্রতিশ্রুতি পালন করে যাচ্ছে। এ সালাতের মাধ্যমেই মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করেন। আল্লাহর সাথে মানুষের সম্পর্কের বন্ধন সুদৃঢ় ও মজবুত হয়। ইহকাল ও পরকালের মুক্তির পথ কংটকমুক্ত হয়। সালাত ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব ও মমতাবোধ ফিরিয়ে আনে। গড়ে উঠে সামাজিক ঐক্যের বন্ধন। সালাতের মাধ্যমে ছগীরা তথা ছোট ছোট গুনাহগুলো হতে পরিত্রাণ লাভ করে এবং দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ লাভ সহজতর হয়। (সংগৃহীত)
সালাত সম্পর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসালাম (সা.) বলেছেন: “বেশি করে আল্লাহর জন্য সেজদা-সালাত আদায় করতে থাকো, কারণ তোমার প্রতিটি সেজদার কারণে আল্লাহ তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং তোমার গুনাহ মাপ করবেন।” (মুসলিম:৭৩৫)
মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিতে আপনার facebook° twitter° social networking° ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন। মহান আল্লাহ পাক যেন আমাদের সকলকে সুস্থ ও সুন্দরভাবে ইসলামিক বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করার তৌফিক দান করেন। আমিন!!
এএইচএম নিউজ/এএইচ মির্জা/শেয়ার করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন