AHMnewsTeam ::: সারাদেশে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউন কঠোর ভাবে বাস্তবায়নে দ্বিতীয় দিনেও বগুড়ার আদমদীঘিসহ সান্তাহারে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী। এই লকডাউন বাস্তবায়নে আদমদীঘি উপজেলায় সেনাবাহিনীর ও পুলিশের টিম মোতায়েন আছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং গুরুত্বপূর্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
শুক্রবার ২ জুলাই সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়। লকডাউন ও বৃষ্টিতে ফাঁকা শহরের মেইন সড়ক গুলো, তবে সকাল থেকে অযথা রাস্তাঘাটে কিছু মানুষকে চলাচল করতে দেখা গেছে। আবার অনেকে প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে ও বাইসাইকেল চালিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। দুই একটি রিকশা-ভ্যান, জরুরি পরিসেবার যানবাহন ছাড়া বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। এছাড়াও যারা অযথা রাস্তাঘাটে চলাচল করছে তাদের পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। বন্ধ আছে সকল ধরনের দোকানপাট, শপিংমল ও বিপনী বিতান।
এ বিষয়ে সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম জানান, সারা দেশে করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সাতদিনের কঠোর লকডাউন জারি করেছে। জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সান্তাহার (১ জুলাই) থেকে এই লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী সান্তাহারে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও জানান, বিধিনিষেধ চলাকালীন আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার অভ্যন্তরীণ সকল রুটে এবং আন্তঃজেলা বাস, ও সকল প্রকার গণপরিবহনসহ সিএনজি, ভ্যান, মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার, বন্ধ থাকবে। তবে রোগী পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, পণ্য বহনকারী ট্রাক এবং জরুরি সেবাদানকারী পরিবহন এই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।
এছাড়া কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান স্বাস্থ্য বিধি মেনে খোলা থাকবে। তবে সকল ধরনের দোকানপাট, শপিংমল, হোটেল, রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে বলে জানান তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন