স্টাফ রিপোর্টার :: প্রিয় সহকর্মী সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে," উপজেলা পর্যায়ে এত প্রেসক্লাব কেনো?"এ প্রশ্নের উত্তরে দুটি কথা না বললেই নয়; প্রথম ও প্রধান কারণ হলো প্রেস ক্লাবে গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রধান্য না দিয়ে সভাপতির পদে দীর্ঘদিন যাবৎ ধরে রাখা।কৌশল হিসাবে নিজের স্বপক্ষের লোক ছাড়া অন্য কাউকে সদস্য না বানানো।
দ্বিতীয় কারন হচ্ছে, প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের প্রতি অবমাননা। সভাপতি নিজেই সকল ক্ষমতার উৎস, অন্য কারো মত কে মেনে না নেওয়া, সকল পদের দায়িত্ব না দিয়ে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। সভাপতির মতের বাইরে কেউ গেলে তাকে ক্লাব থেকে বহিস্কার করা।
প্রিয় বন্ধুগন, এবার নিশ্চয়ই সবাই বুঝতে পারছেন,কেনো উপজেলা পর্যায়ে একাধিক প্রেসক্লাবের জম্ম হয়। আপনাদের আরো স্পষ্ট করে বলতে চাই,সভাপতির কার্যকাল বোর্ডের প্রতি একবার দৃষ্টি দেন, কত দিন যাবৎ সভাপতির দায়িত্বে আছেন! এবার জ্বলন্ত প্রমান পাবেন কি করে একনায়কতন্তের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রিয় বন্ধুগন,আপনারা নিশ্চয় জানেন পূর্বের ইতিহাস, তখন উপজেলা পর্যায়ে কয়টি প্রেসক্লাব ছিল! উপজেলা পর্যায়ে মাত্র একটি প্রেসক্লাব ছিল, সেই পুরাতন একটি প্রেসক্লাব কে ভেঙ্গে কীভাবে দুইটি, তিনটি, চারটি এমনকি কোন কোন উপজেলায় পাঁচ কিংবা ছয়টি ও হয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে গণতান্তিক অধিকারকে হরণ করে,একনায়কতান্ত্রিক ভাবে সভাপতির পথকে আঁকড়ে ধরে রাখা। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে,ক্ষমতাকে চিরস্হায়ী করার হেন প্রচেষ্টা মাত্র। আর অন্যের মত কে উপেক্ষা করা।
বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। এ যুগের যুবকেরা অত্যন্ত মেধা সম্পূর্ণ। তাই আমরা যারা প্রবীনেরা আছি, আমাদের উচিৎ হবে তরুনদের সাংবাদিক পেশায় উৎসাহিত করা,তরুণেরাই আগামী দিনের আশার প্রদীপ। আসুন আমরা আমাদের বাংলাদেশে সকল স্তরে গণতান্তিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করি,সবার মত কে প্রাধ্যন্য দিয়ে তরুন সমাজকে অগ্রাধিকার প্রদান করি।একই সাথে প্রশাসনিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ, উপজেলা পর্যায়ে সকল প্রেসক্লাবকে সমান চোখে দেখার চেষ্টা করুন আসুন আমরা একনায়ক তন্ত্র পরিহার করি,তরুনদের কাজে উৎসাহ প্রদান করি,তরুনেরাই হোক আগামী দিনের দক্ষ সাংবাদিক। সাংবাদিক পেশা একটি মহৎ পেশা, এ পেশার মানসম্মান রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার, আমরা যারা সিনিয়র সাংবাদিক আছি,সাংবাদিক সমাজে আমাদের দায়িত্ব কিছুটা বেশী। সিনিয়রদের অনেক সময় বাবার মত ভুমিকা পালন করতে হয়। যারা জুনিয়র আছে, তারা সিনিয়রদের সব সময় অনুসরণ করে পথ চলে।
আসুন আমরা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আরো সচেতন হই, এ পেশার সম্মান রক্ষার দায়িত্ব সবার। একনায়কতন্ত্র পরিহার করে,সবাই কে সম্মান দিয়ে, সবার কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করে, গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্লাব পরিচালনা করি। তাহলে আমার মনে হয়,উপজেলা পর্যায়ে কিছুটা হলেও প্রেসক্লাব কমিয়ে যাবে। আমার লেখায় কোন ভুল ক্রটি হলে, দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদান্তে,
মো. আব্দুস ছালাম মীর
লেখক ও সাংবাদিক দুপচাঁচিয়া, বগুড়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন