Pages

বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়লো ৩১ আগস্ট পর্যন্ত


অনলাইন ডেস্ক :

সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী  (৬ আগস্ট) পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ছিল। কিন্তু ঈদ সামনে রেখে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একটাই জিজ্ঞাসা ছিল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কি আরও বাড়বে, নাকি খুলে দেওয়া হবে।  করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩‌১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বুধবার (২৯ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানাগেছে, বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে সেপ্টেম্বরের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকতে পারে। 

করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গত  রবিবার স্কুলে ছুটির বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেছিলেন, ছুটি অবশ্যই বাড়বে। যে অবস্থা, তাতে সেপ্টেম্বরের আগে খুলতেই পারব না। আগে বাচ্চাদের নিরাপত্তা। তারপর অন্য কিছু। সেপ্টেম্বরকে লক্ষ্য করেই আমরা এগোচ্ছি। সেপ্টেম্বরের আগে স্কুল খুলব না। আজ বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, দেশের মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে পড়ে প্রায় পৌনে দুই কোটি ছেলেমেয়ে। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সোয়া কোটির কিছু বেশি। বাকিরা শিক্ষার অন্যান্য স্তরে পড়ে। ইতিমধ্যেই তাদের শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত। আটকে গেছে এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা। সেশনজট বাড়ছে। বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলো পড়ছে আর্থিক সংকটে। করোনার বাস্তবতায় যত দিন এই বন্ধ বাড়বে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতিও তত বাড়বে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে স্কুলপর্যায়ে টিভির মাধ্যমে ক্লাস প্রচার এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসে গুরুত্ব দেওয়া হলেও তা সেই অর্থে কার্যকর হয়নি।

অন্যদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সিলেবাসে কিছুটা কাটছাঁট করে পরীক্ষা নেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার বিষয় কমিয়ে কম সময়ে তা নেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। যদি সেপ্টেম্বরে স্কুল খোলা সম্ভব হয়, তাহলে সিলেবাস কাটছাঁট করে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও আগামী ডিসেম্বরে নেওয়া হতে পারে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে দেরি হলে চলতি শিক্ষাবর্ষ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে আগামী বছরের দুই-তিন মাস যুক্ত করারও চিন্তা করছে শিক্ষা প্রশাসন। আসলে সবকিছু নির্ভর করছে দেশের চলমান করোনা পরিস্থিতির উপর। 


এএইচএম নিউজ/এএইচ মির্জা/শেয়ার করুন।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন